“কাকু, কবে শুরু হবে রাস্তার কাজ?”
“আগামী মাসে।” কাকুর আত্মবিশ্বাসী উত্তর।
কাকু, মুলা ঝুলানো দর্শনকারী আমজনতা।
প্রতি মাসে এই রাস্তার অভিভাবকগণ রাস্তা মেপে নেয় আর আমজনতার সামনে আগামী মাসের মুলা ঝুলিয়ে যায়।আমি এই মুলা দেখতেছি গত ৬ বছর।৬ বছর ধরে আমি এই এলাকার বাসিন্দা।
রাস্তার বেহালদশা
২০১৭ থেকে প্রতি বর্ষাকালে সর্বোচ্চ ৫ হাজার সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকা চাদা দিয়ে আসছি রাস্তায় কনক্রিট ফালানোর জন্য।
পেশায় ৯৯ শতাংশ প্রবাসী এই রাস্তার পাশের বাসিন্দাগণ। প্রবাসীদের বাপ,ভাই,স্ত্রী কন্যা যারা দেশে আছেন তারা আবার শতভাগ কৃষি ও ব্যবসার সাথে জড়িত।৮৮ ছাড়া এই এলাকায় কখনো বন্যা হয়নি।৫/৭ গ্রামের মানুষ এই রাস্তা ব্যবহার করে স্থানীয় ফকিরাবাজার,রামমোহন বাজার এবং চান্দিনা উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন,তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য ও গো বাছুর নিয়ে উক্ত হাটগুলোতে যান।বাস ছাড়া প্রায় সব ধরনের গাড়ি এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করে।
চান্দিনায় রাস্তার বেহাল অবস্থা
অর্থনৈতিকভাবে এই রাস্তার যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।কাচা রাস্তার দুই ধারের জমিতে ৩/৪ সিজন ফসল আবাদ হয়।একটা ছোট্ট তৈরি পোষাক কারখানা হয়েছে এই রাস্তার পাশে,১৫ হাজার ক্যাপাসিটির ৩ টা লেয়ার মুরগির খামার এবং আমি অভাগার খামারের পণ্যও এই পথেই নিতে হয়।তাছাড়া রোগী,প্রেগন্যান্ট মহিলা,ছাত্রছাত্রী,শিশু বৃদ্ধ এই পথেই…
রাস্তার দূরত্বঃ ৭ শ মিটার।
অবস্থানঃ ৪৮০ মিটার,বানিয়াচং হৈয়াপাড়া,এতবারপুর ইউনিয়ন, চান্দিনা, কুমিল্লা।রাস্তা থেকে জমির উচ্চতা ২/২.৫ ফিট।১০ থেকে ১৫ ফিট প্রস্থ মেঠো পথ।
২২০ মিটারঃ খিরাসার মোহনপুর,বরকইট ইউনিয়ন,চান্দিনা কুমিল্লা।রাস্তার এক পাশে বাড়িঘর অন্য পাশে, ৬/৮ ফিট নিচু খাল।
© তাইজুল ইসলাম মুজাহিদ