মায়ানমার সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি, এপিসি মোতায়েন,প্রয়োজনে আরও শক্তি বৃদ্ধির প্রস্ততি।
বাংলাদেশ সীমান্তে সেনা উপস্থিতি বৃদ্ধি করেছে মায়ানমার। নতুন করে সেনা চৌকি নির্মান করেছে তারা। এর পাশাপাশি ক্যাম্পে বিশেষত জিরো লাইনে থাকা রোহিঙ্গাদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে বিজিপি ও বার্মিজ সেনারা। নতুন করে রোহিঙ্গা বিতাড়ন শুরু করতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ অফিসিয়ালরা।
এদিকে মায়ানমারের এহেন আচরনে সীমান্তে শক্তিবৃদ্ধি করেছে বিজিবি। সদস্য বৃদ্ধির পাশাপাশি সর্বশেষ নতুন সংযোজিত ক্রাজ স্পার্টান এপিসি মোতায়েন করেছে বিজিবি। আর এই এপিসিগুলোর সাথে নতুন এটিজিএম ও ক্রয় করেছিলো বিজিবি। তাই ধরে নেয়া যায় নতুন কেনা এটিজিএম ও বার্মা সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া বিজিবির আগে থেকে ব্যবহার করা অটোকার কোবরা এপিসি ও নতুন কেনা এটিভি সমুহতো আছেই।
এছাড়াও, মায়ানমারের অভ্যন্তরে কি ঘটছে তা জানার জন্য গোয়েন্দা তৎপরতাও বৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে রোহিঙ্গা বিতাড়ন ও বিচ্ছিন্নতা বাদী গ্রুপ গুলোর বিরুদ্ধে অপারেশন পরিচালনা করে নিজেদের জনগনের মনে গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির নোংরা চাল চালতে পারে বার্মিজ মিলিটারী। যদি তাই হয় তাহলে বাংলাদেশে আবারও রোহিঙ্গা শরণার্থীর ঢল বইতে পারে।
ভবিষ্যতে কি হয় সেটা দেখতে হলে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। দেখতে ও বুঝতে হবে সার্বিক পরিস্থিতি। হয়তো সামনে বার্মা-বাংলা সংঘাত ও ঘটতে পারে। পাশাপাশি বার্মার সামরিক জান্তা বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টরগ্রামেও নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। আর যদি তা হয় তাহলে সেটা বাংলাদেশের জন্য গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে উঠবে এটা নিশ্চিত।
ছবিতে বিজিবি মহাপরিচালক সাথে বিজিবির ব্যবহৃত মর্টার।
সুত্রঃ Military Affairs Bangladesh