গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি), রংপুর এবং প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।গত বুধবার (২৭ জানুয়ারি, ২০২১) বিকেল ৫টায় রাজধানীর আগারগাঁও-এর প্রত্নতত্ত্ব ভবনে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে এই সমঝোতা স্মারকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর-এর পক্ষে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও এবং প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের পক্ষে সংস্থাটির মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ হান্নান মিয়া স্বাক্ষর করেন। আজ শনিবার ৩০ জানুয়ারি মাঠ পর্যায় খনন কার্যক্রমের শুভ সূচনা হয়।
এই সমঝোতা স্মারকের ফলে ও খনন কাজ শুরু হওয়াতে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার ৯নং হামিদপুর ইউনিয়নের ইসবপুর ধাপেরহাট সংলগ্ন প্রত্নতাত্ত্বিক ঢিবি বেরোবি ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর যৌথ প্রত্নতাত্ত্বিক খনন পরিচালনা করচেছে যা চলমান থাকবে পূর্ণাঙ্গ কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত
উদ্ভোদন অনুষ্ঠানে বেরোবি ভাইস-চ্যান্সেলর প্রত্নতত্ত্ব খননকার্জে অংশীদার হওয়ায় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, প্রথমবারের মতো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর উত্তরবঙ্গের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার ৯নং হামিদপুর ইউনিয়নের ইসবপুর ধাপেরহাট সংলগ্ন প্রত্নতাত্ত্বিক ঢিবি খনন কাজ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছি এবং আজ তার কাজ শুরু হল। প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণা কর্মের মাধ্যমে এই অঞ্চলের অজানা ইতিহাস সর্ম্পকে সুস্পষ্ট ধারণা লাভের সুযোগ তৈরি হবে এবং ইতিহাস-ঐতিহ্যকে আরো সমৃদ্ধ করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এসময় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ হান্নান মিয়া বলেন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সঙ্গে প্রত্নতাত্ত্বিক যৌথ খননে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলির মধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর পথ প্রদর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে আরো সমৃদ্ধ করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের প্রত্নসম্পদ সংরক্ষণ উপপরিচালক মোঃ আমিরুজ্জামান পিএইচডি, ফিল্ড অফিসার মোঃ শাহীন আলম, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক সোহাগ আলী, জেসমিন ঝুমুর,জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের সহকারী পরিচালক ও এমফিল গবেষক মোঃ এহতেরামুল হক, সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) ও এমফিল গবেষক মোঃ হাবিবুর রহমান ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ছাত্র অর্নব মোরশেদ, শাহকুন সরকারসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।