করোনা মহামারীর কারণে সারা বিশ্বের সকল দেশ যখন এক দেশ অন্যদেশের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্য করে লোকডাউনে চলে যায়। তেমনি ভাবে ভারত মহাসাগরে ছোট ছোট দীপ গঠিত দেশ মালদ্বীপও লকডাউনে যাওয়ার ঘোষণা দেয় গত এপ্রিলের ১৫ তারিখ থেকে।
এই লকডাউনের কারণে বেকার হয়ে পরে স্থানীয় নাগরিকদের পাশাপাশি, অবৈধভাবে দালাল মাধ্যমে এদেশে আসা কয়েক হাজার বাংলাদেশী। যাদের কারোরই কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। এসব লোক বেকার হয়ে পড়ায় তাদের বাসাভাড়া ও খাওয়া দাওয়া নিয়ে বরকমের সমস্যায় পড়েযায়।
বিষয়টি মালদ্বীপ সরকারের নজরে থাকায়, বিষিয়টি নিয়ে পরিকল্পনা করে দেশটি। পরবর্তীতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সাথে আলোচনা করে মালদ্বীপ সরকার সকল অবৈধ ভাবে আসা বাংলাদেশিদের বিনামূল্যে দেশে পাঠানোর কর্মসূচি গ্রহণ করে। এরই দ্বারাবাহিকতায় গত মে ২০২০ থেকে ডিসেম্বর ৩১ তারিখ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশিকে বিনামূল্যে দেহসে ফেরত পাঠিয়েছে দেশটি।
হটাৎ নতুন বছরের শুরু থেকে মালদ্বীপ সরকার আর কোনো ফ্লাইট পরিচালনা করছে না। এবং ডিসেম্বরে বিনামূল্যে দেশে যাওয়ার জন্য যারা নিবন্ধন করে সরকারের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে তাদের মধ্যে থেকে ২০০ জনেরও বেশি প্রবাসী দেশে ফেরার অপেক্ষায় দিন গুনছে।
আশ্রয় কেন্দ্রে আটকে পড়া প্রবাসীদের ভাষ্যমতে দেশে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করার পর তাদেরকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। এর পর তাদের অনেকেরই হয় কমিশার পক্ষ থেকে ট্রাভেল পারমিট না থাকায় নির্ধিষ্ট ফ্লাইটে দেশে যেতে পারেনি।
আবার অনেকের ট্রাভেল পারমিট থাকলেও টিকিট হাতে আসেনি। এরই মধ্যে ৩১ ডিসেম্বরের পর ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আটকা পড়েছেন তারা। তারা জানেনা কবে তারা দেশে ফিরে যেতে পারবেন।
দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য গত শুক্রবার তারা আশ্রয় কেন্দ্রে বিশেষ দোয়া ও মুনাজাতের আয়জন করে। মুনাজাত শেষে তারা মালদ্বীপ সরকার ও বাংলাদেশ হাই কমিশনারের দৃষ্টিকর্ষণ করেন। এবং অনতিবিলম্বে তাদেরকে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেন।