বেরোবির রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তরিকুল ইসলামের নোংরা রাজনীতির শিকার ছাত্র, শিক্ষক, কর্মচারী সকলেই। তিনি নিজের ক্ষমতা জাহির করতে হুমকি প্রদান থেকে শুরু করেন তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক ওয়ালে মিথ্যা, বানোয়াট এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে নাশকতার দিকে উস্কানি দিয়ে থাকেন।
এইচ এম তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অসদাচরণ এবং অশালীন কথা বলার অভিযোগ এনেছিলেন একই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তানিয়া তোফাজ।ঐ ঘটনায় শিক্ষক তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে রেজিস্ট্রার কর্নেল আবু হেনা মুস্তাফা কামাল বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ ও দিয়েছিলেন তানিয়া তোফাজ।
অনেকেই তরিকুল ইসলামকে নারী বিদ্বেষী হিসেবে চেনেন এবং নারী শিক্ষকদের হুমকি প্রদানে তিনি সিদ্ধহস্ত। অভিযোগ আছে যে, এর আগেও ক্যাম্পাসে অনেক ছাত্রী, শিক্ষিকা, নারী কর্মকর্তা এবং কর্মচারীকে নিয়ে তিনি কটূক্তি করেন। দেশকে উন্নয়নের দিকে ধাবিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যিনি নিজে একজন নারী এবং দুঃখের বিষয় তরিকুলদের এই নারী বিদ্বেষের জন্যই সোনার বাংলা বাস্তবায়নে অনেক বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। নারীদের পিছিয়ে রেখে উন্নয়ন সম্ভব না।
অন্যদিকে গতকাল বিকেল ৫ ঘটিকায় তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক ওয়ালে মিথ্যা, বানোয়াট এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে নাশকতার দিকে উস্কানি দিয়েছেন। সম্প্রতি রসায়ন বিভাগের নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয় এবং এ নিয়ে তিনি তার বাক্তিগত ফেইসবুক ওয়াল এবং বিভিন্ন গ্রুপে লিখেন যার খণ্ডাংশ হল, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি ফার্স্ট, ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত, প্রধানমন্ত্রী গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর এ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি হয় না। অপরাধ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হওয়া? রসায়ন বিভাগে অবৈধভাবে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ- অবৈধ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি-অবৈধ নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে ফ্যাকাল্টি ফার্স্ট, ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত, প্রধানমন্ত্রী গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত শিক্ষার্থী বাদ দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে”।
এ নিয়ে প্রশাসনের দায়িত্বশীল সূত্র অনুযায়ী, “ বিশ্ববিদ্যালয়ের গোপনীয় বিষয়ে এমন মনগড়া মত তথ্য প্রদান করাই হচ্ছে তরিকুল ইসলামের প্রধান কাজ যা বেরোবি আইন-২০০৯ এবং তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ সুস্পষ্ট লঙ্ঘন , তিনি আরও বলেন তরিকুল সাহেব ক্লাস নেয়ার বদলে নাশকতা করতেই বেশি সিদ্ধহস্ত”।
অন্যদিকে সুরক্ষা পরিষদের আহবায়ক ড. মতিউর রহমান এর পরামর্শক্রমে (যিনি জিয়া পরিষদের সাবেক সদস্য, আজিজুল হক কলেজে শিক্ষক থাকাকালীন সময়ে এবং জামাতের সাথে তার রয়েছে গভীর আঁতাত); তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছেন এবং নাশকতার ঢাল সুরুপ তিনি মনগড়া মিথ্যা তথ্য এবং গুজব ছড়াচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।