।।বেরোবি প্রতিনিধি।।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় রংপুরে একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্ম দিচ্ছেন ভুঁইফোড় সুরক্ষা পরিষদ নামের একটি সংগঠন। এর ধারাবাহিকতায় এবার বেরোবির ভূঁইফোর সুরক্ষা পরিষদের বিতর্কিত নতুন কর্মকান্ডের নাম “খোরশেদনামা”।
খোরশেদ আলম ১১তম গ্রেডের বেরোবির একজন স্টাফ।তিনি জানান “আজ আমার নামে যে অভিযোগ আনা হয়েছে বেরোবির তথাকথিত অধিকার সুরক্ষা পরিষদ কর্তৃক সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত, আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”সুরক্ষা পরিষদের নেতৃত্বে যারা যে কয়েকজন শিক্ষক আছেন সবাই বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত; যা শিক্ষক সমাজের জন্য লজ্জাকর এবং অপমানজনক।
ইতালিয়ান বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এবং সাংবাদিক গাইটানো মসকো তার থিওরি অফ এলিটিসম এ বলেন, “অল্প কয়েকজনের একটি কুচক্রী গ্রুপের কাজ হচ্ছে নিজেদের স্বার্থ বাস্তবায়ন করার জন্য প্রতারণার আশ্রয় নেয়া, বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে মানুষকে ভয় দেখানো, প্রশাসনকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করার জন্য চাপ প্রয়োগ করা, দুর্নীতিতে লিপ্ত হওয়া, অপ-প্রচার করা, উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করা, নাশকতা করা, অপরাধে উস্কানি দেওয়া ইত্যাদি”। বেরোবির সুরক্ষা পরিষদ যেন গাইটানো মসকোর থিওরি অফ এলিটিসম এর প্রতিচ্ছবি।
এই ভুঁইফোড় সুরক্ষা পরিষদের নেতৃত্বস্থানীয় প্রত্যেক সদস্যদের বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য, নাশকতা, ক্লাস ফাঁকি দেওয়া ও ইচ্ছাকৃত সেশনজট তৈরি সহ অজস্র অভিযোগ। তারা নিজেদের স্বার্থ বাস্তবায়নে বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে ছাত্র, শিক্ষক এবং কর্মচারীকে ভয় দেখায়, প্রশাসনকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে, দুর্নীতিতে লিপ্ত, অপ-প্রচার করে, উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে, নাশকতা করে, অপরাধে উস্কানি দেয় ইত্যাদি।
অভিযোগ আছে যে, এই কুচক্রী ভুঁইফোড় সুরক্ষা পরিষদের আহবায়ক ড. মতিউর রহমান জিয়া পরিষদের সাবেক সদস্য (আজিজুল হক কলেজে শিক্ষক থাকাকালীন সময়ে) এবং জামাতের সাথে তার রয়েছে গভীর আঁতাত; যার অংশ হিসেবে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছে এবং নাশকতার আশ্রয় নিচ্ছেন। অন্যদিকে শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি গাজী মাজহারুল আনোয়ার যিনি বেরোবির সাবেক দুর্নীতিবাজ ভিসি জলিল সাহেবের (দুর্নীতির দায়ে ৯ মাস জেল খেটেছেন) ভায়রা ভাই, ড. তুহিন ওয়াদুদ যিনি মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, অনার্স এবং মাস্টার্সে ২য় বিভাগ প্রাপ্ত, যার একমাত্র কাজ হচ্ছে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করে পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট করে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি করা।
অন্যদিকে সুরক্ষা পরিষদের আরেক সদস্য বেরোবির গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান প্রতারণা এবং নিয়োগ বাণিজ্যকে নতুন রূপ দিয়েছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারণা এবং নিয়োগ বাণিজ্যের নতুন ফাঁদ হিসেবে বেসরকারি কলেজের প্রভাষকের (নামধারী ভিসি) নেতৃত্বে বে-আইনি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সৈয়দপুর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়) চার নম্বর ট্রাস্টি হয়েছেন। তার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু পরিষদের পদ ভাগিয়ে তিনি নিজের ক্ষমতা প্রদর্শনের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে নিজের রুম ভাংচুর করে সহকর্মীকে ফাঁসানোর পায়তারা করেন এবং সিসি ফুটেজ তার এই অপকর্মের সাক্ষী। এই অপকর্মের তালিকায় রয়েছে, বেরোবির রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তরিকুল ইসলাম সহ আরও অনেকে।
সার্বিক বিষয় বিশ্লেষণ করে বিশিষ্ট অপরাধ বিজ্ঞানী আল বারী মজুমদার বলেন, “বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রুগ্ন মানুষগুলো হল এই সুরক্ষা পরিষদের সদস্য, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে উন্নতির জন্য এদের সংশোধন দরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এদের সংশোধনের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করতে পারে; আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং রাষ্ট্র এই রুগ্ন মানুষদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে এবং আইন অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করবে”।