মো:খোরশেদ আলম/বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর অংশ হিসেবে বাংলাদেশেও করোনা-১৯ এর মহামারী দেখা দিয়েছে।করোনা-১৯ ভাইরাসটি বাংলাদেশে ২০২০ সালের মার্চ মাসের মধ্যবর্তী সময়ে নিশ্চিত করে বিস্তার লাভ শুরু করে।আই.ই.ডি.সি.আর কর্তৃক ২০২০ সালের মার্চ মাসের ৮ তারিখে সর্বপ্রথম করোনা-১৯ পজেটিভ রোগি সনাক্ত করা হয়।সেই থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনা-১৯ ভাইরাসটি মানুষের শরীরে বিস্তার লাভ করছে ও তার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।বাংলাদেশের মানুষকে করোনা-১৯ ভাইরাস থেকে প্রতিরোধ করার জন্য বাংলাদেশের বর্তমান সরকার সারাদেশবাসীকে লোকডাউনে রেখেছে ২৩ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত।এই সময়টাতে দেশবাসীকে করোনা-১৯ ভাইরাস মহামারি থেকে বেঁচে থাকার উপায় ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সর্ম্পকে জনসাধারনকে গণসচেতনা তৈরির জন্য মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
করোনা-১৯ ভাইরাসে পজেটিভ রোগির সংখ্যা মার্চ মাস পর্যন্ত খুব কম ছিল তবে এপ্রিল মাসে গিয়ে দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকে।এই ভাইরাসে আক্রান্ত লোকের সংখ্যায় বাংলাদেশ দক্ষিন এশিয়াতে দ্বিতীয় আর ভারত প্রথম।
করোনার এই মহামারীতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিন্ম আয়ের লোকজন। আমাদের এই দেশে গড়ে বর্তমানে শতকরা ১৩ ভাগ মানুষ করোনা-১৯ মহামারির জন্য কাজ হাড়িয়েছে।গত কয়েকমাসে বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের মানুষেরও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তাদের আয় কমে গিয়েছে।দেশের মানুষের আয়যোগ্য ব্যয় অনুসরন করেছে হ্রাসমান ধারায়।বিআইডিএস এর মতে দেশের দারিদ্র সীমার হাড় বেড়ে শতকরা ২৫ হবে যা করোনা-১৯ মহামারীর আগে ছিল শতকরা ১৩ ভাগ।
এই মহামারির সময়ে কারণে আমাদেও রপ্তানি কমেছে শতকরা প্রায় ১৬.৯৩ ভাগ আর আমদানি কমেছে শতকরা ১৭ ভাগ। আমাদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ২০১৯ সালের তুলনায় গড় আয় কমেছে এই করোনা পরিস্থিতিতে শতকরা ৬৬ ভাগ।তবে সব মিলিয়ে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা দৃঢ় ও স্থিতিশীলতার অন্যতম কারণ আমাদের বৈদেশিক রেমিটেন্স বৃদ্ধি পেয়েছে ২০১৯ সালের তুলনায় শতকরা ১১ ভাগ। বর্তমানে বাংলাদেশে বৈদেশিক রেমিটেন্সের আকার ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এই করোনা মহামারিতে তৈরি পোশাক শিল্পের উৎপাদন ও বন্ধ হয়ে যায়।দেশের লকডাউন পরিস্থিতিতে এই শিল্পের এক মিলিয়ন কাজহীন বসে থাকে এই শিল্পের বৈদেশিক অর্ডার কমে যাওয়ার জন্য।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ প্রনোদনা প্যাকেজের আওতায় তৈরি পোশাক শিল্পে ২৫ মার্চ ৫ হাজার কোটি টাকা টাকার সহায়তা প্রদান করার ঘোষনা দেন।