কুমিল্লা বাংলাদেশের একটি প্রাচীনতম শহর। সেখানে আছে প্রাচীনবাংলার ঐতিহ্য। গড়ে উঠেছে হাজারো শিল্পকারখানা। আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও সব চেয়ে বেশি প্রবাসী রয়েছে কুমিল্লা থেকে। যে কারণে প্রবাসী রেমিট্যান্সের দিক থেকে প্রতিবছর দেশ সেরা হয় কুমিল্লা।
দেশের ৮টি বিভাগীয় শহর গুলোর ৭টি শহরের পরেই রয়েছে কুমিল্লা শহরের স্থান।
যদিও কুমিল্লা বিভাগ হওয়ার কথাছিলো, কিন্তু রাজনৈতিক গেড়াকলের জন্য সেটি সামনে এগুচ্ছে না। এর জন্য কুমিল্লা বাসি অনেক আন্দোলন মানবন্দন করছে। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে তা আর হচ্ছে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদিও বলেছে কুমিল্লা অবশ্যই বিভাগ হবে আজ নয় তো কাল।
গত কয়েকবছর ধরে বাংলাদেশ সরকারের কাছে কুমিল্লা বাসীর যে কয়েকটি দাবী ছিল তার মধ্যে কুমিল্লা নাম বিভাগ চাই, কুমিল্লা এয়ারপোর্ট চালু করা এবং কুমিল্লা থেকে ঢাকা সরাসরি রেল যোগাযোগ।
কুমিল্লা একটি ঐতিহাসিক নগর হওয়ায় এখানে আগে থেকেই একটি এয়ারপোর্ট রয়েছে। পূর্বে এটি চালু থাকলেও কয়েক দশক ধরে পরিত্যক্ত হিসেবে পড়েছে এই বিমানবন্দরটি।
বিমানবন্দরটি চালু থাকা অবস্থায় ডোমেস্টিক ফ্লাইট ছাড়াও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট হিসেবে কলকাতা – কুমিল্লা – আগরতলা রুটে নিয়মিত ভাবে বিমানের বি জি ৫৯৩ একটি ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে।
কুমিল্লাবাসীর দীর্ঘ্যদিনের দাবী ছিল কুমিল্লা বিমানবন্দরকে পুনরায় চালু করে কুমিল্লার প্রবাসীদের যাতায়ত ব্যবস্থা সহজ করতে। শুধু কুমিল্লা নয়, চাঁদপুর , ব্রাম্মণবাড়িয়া, ফেনী ও নোয়াখালীর প্রবাসীরাও এতে উপকৃত হতে পারতো। তাছাড়া দেশের অন্যতম শিল্পনগরী হিসেবে কুমিল্লায় উৎপাদিত পণ্য সহজে বিদেশে রপ্তানি করা যেত।
কুমিল্লায় উৎপাদিত সবজি দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও। যা বর্তমানে চিটাগং কিংবা ঢাকা এয়ারপোর্ট হয়ে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। এতে করে যেমন সময় নষ্ট হচ্ছে তেমনি বাড়ছে পরিবহন খরচও।
কুমিল্লা বিমানবন্দরটি চালু থাকলে জমি থেকে সজ্বি সংগ্রহ করে দিনে দিনে রপ্তানির সকল পক্রিয়া সমাপ্ত করা সম্ভব হতো। যা বর্তমানে ৩ থেকে ৪ দিন সময়ে নিচ্ছে।
দেশের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের তৈয়ারি থাকা বিমানবন্দর চালু না করে। এর কয়েকশত গুন্ বেশি অর্থ ব্যয় করে নতুন এয়ারপোর্ট নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছে সরকার।
এই নিউজ ভাইরাল হওয়ার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে কুমিল্লাবাসীর খুব ও বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া। অনেকেই বলছে এটি সরকার দলের উপরস্থ পদে থাকা নোয়াখালীর নেতাদের কারসাজি। মূলত তাদের ষড়যন্তের কারণেই কুমিল্লা এয়ারপোর্ট চালু না করে নতুন এয়ারপোর্ট করা হচ্ছে। যেমনি ভাবে কুমিল্লা বিভাগ করন পক্রিয়া পিছিয়েছে।