তুমি আর সে
লেখকঃ লতিফুর রহমান প্রামানিক
কত বদলে গেছ তুমি আর সে।
এলোমেলো হয়ে গেছে রোজকার দিনলিপি,
অগোছালো জীবন যেন আজকাল,
ফ্যাকাসে, বিবর্ণ, বিরস , নিরস , কুশ্রী,
শ্রী হীন জীবন, মেঘলা মুখ,
নিরানন্দে তার প্রতিদিন।
থেমে গেছে সময়ের স্রোত।
তার মতো?
তোমার ও কি এমন হয় নাকি?
তার আকাশে ভরা ছাই রং মেঘ,
রৌদ্র মাখা সকালে কুয়াশার চাদর।
পথ ভুলে গেছে শুভসকাল।
রাস্তা ভুলেছে বেশ কিছুদিন।
সেই থেকে আর সকাল আসেনি কোনদিন।
মেট্রোরেলের সাইরেন বাজে-না কানে,
প্লাটফর্মে এখন কত মানুষের ভীড়?
সেই ছেলেটা, যে চোখ পেতে রাখে জানালায়,
তার মায়ের ব্যস্ততা অবিরাম।
কপোত-কপোতী হাত ধরে,
কথা চালাচালি,
সে বলে প্রেম।
তুমি বলো এটা প্রেম নয়।
সীট নেই। আজ বড্ড ভীড়,
ডান হাতে হ্যাংগার চেপে ধরে,
দেখাতে পথের আপডেট।
অফিসে পা রাখলেই, পায়রা উড়ে এসে বলে,
তুমি এখন টেবিলে।
কম্পিউটারে বড্ড ব্যস্ততা, জমানো ফাইল,
অনুনয় করে বলতে, কি করবো বল
অনেক কাজ।
সুযোগ পেলে কথা বলি।
সে বলতো,
আচ্ছা তুমি কাজ কর আমি টেবিল ঘেঁষে বসি,
চুপচাপ হয়ে তোমার রুপ-গুলো নেই শুষি।
তুমি হেসে বলতে,
বড্ড ঢং তোমার।
তোমার বন্ধুরা ভালো আছে তো?
কত অঙ্গীকার তোমার আর তার।
ঘুরে দেখাবে তোমার শহর,
সুন্দর শহর।
থাক সে কথা।
আজ অতীত।
অতীতে মানুষ কত কিছু বলে।
সব কথা রাখে?
সে একদিন একটা বিশাল অপরাধ করে ফেলে,
মজা করে তোমার সাথে।
সরি বলো।
তুমি তুমি নিলে অন্যভাবে।
ব্যাস।
এরপর আর তুমি কথা বলনি তার সাথে।
সে ক্ষমা চাইলো অজস্র বার।
তুমি ক্ষমা করনি আর।
মরিচাধরা, নিথর-প্রান,
যোগাযোগের মাধ্যম গুলো তে সে অজস্র বার খুঁজে দেখে,
যদি ভুল করে আসো,
যদি ক্ষমা করে দাও,
তোমার আংগুলের খোঁচায় যদি,
লেখা ভেসে আসে,
“তুমি কেমন আছো”?সে চোখের জলে তোমাকে কাছে টেনে নিবে।
বল, তুমি কি তার কাছে আসবে?
সব ভুলে?
আঁধার ঘোঁচাতে?