নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর তল্লা পাড়া এলাকায়, একটি মসজিদে এয়ার কন্ডিশনার (এসি) বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পনের থেকে বিশ জন মুসল্লি গুরুতর অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার রাতে এশার নামাজ চলাকালীন সময়ে শহরের তল্লা বাইতুস সালাম মসজিদে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। আহতদেরকে শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল ও গুরুতর আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এই রিপোর্ট লেখার পর্যন্ত জুয়েল নামে ৭ বছরের একটি শিশু মারা গিয়েছে।
তবে হস্পিটালে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করেনি। সম্ভবত সকালের প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি সংবাদমাধ্যম কে জানাবেন।
অনেকেই ধারণা করছেন, মূলত তিতাস গ্যাসের লিকেজ থেকে এই অগ্নিকান্ড ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা যখন কাজ করছিলেন তখনও গ্যাস লিকেজ হওয়ার ব্যাপারটি নজরে পরেছে।
আশেপাশের কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গ্যাস লাইন লিকেজের ব্যাপারে তিতাস গ্যাসকে কয়েকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু তিতাস গ্যাসের পক্ষ থেকে কোনো রকম সাড়া পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেছেন তিতাসের কাছে মসজিদের এখানে গ্যাস লিকেজ সারানোর ব্যাপারে জানালে তিতাসের কর্মকর্তারা মুসল্লীদের কাছে টাকার দাবি করে।
শুধু মসজিদের ব্যাপারেও নয়। যেকোনো পারিবারিক লাইনে যদি কোনো প্রকার লিকেক দেখা দেয় তা সাড়াতে তিতাস কর্তিপক্ষকে টাকা দিয়ে সেই লিকেজ সাড়াতে হয়।
সেখানকার এলাকাবাসীর দাবী সরকার যেন তিতাসের এমন অব্যাবস্থাপনার বিষয়টি খতিয়ে দেখে। এবং এর সাথে জড়িত অসাধু কর্মচারিদের শাস্তির আওতায় আনা হয়।