কবরস্থানের জায়গার জন্যে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার মুসলমানদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। মৃত স্বজনদের কবর দাফন করতে আর মাইলের পর মাইল পাড়ি দিতে হবে না তাদের। এখন থেকে নগরীতেই মৃতদেরকে দাফন করা যাবে।
মৃত স্বজনদের কবর দেয়া নিয়ে বুধবার থেকে শেষ হয়েছে ম্যানিলার মুসলিমদের এ ভোগান্তি। এদিন ম্যানিলার মেয়র ফ্রান্সিসকো দামাগোসো নগরীতে প্রথম মুসলিম কবরস্থান নির্মাণ উদ্বোধন করেন। তিনি এ সময়কে ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন: এ প্রকল্প এ নগরে মুসলমানদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতির পাওনা। ২৪ স্কয়ার মিটারের এ গোরস্তানটিতে ৩৭৮টি কবরের জায়গা রাখা হয়েছে। সেখানে একটি মসজিদও নির্মিত হবে। এজন্য প্রায় ১০ লাখ ডলার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তারা যেনো নিজেদের স্বীকৃতভাবে এবং নিজেদের ম্যানিলার অংশ হিসেবে মনে করে, সেজন্যেই আমাদের এ নিজস্ব ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। মুসলিমদেরকে আগের প্রশাসনগুলো অবহেলা করায় এবং তাদেরকে যথাযথ কবরস্থানটুকুও দিতে না পারায় আমি তাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। এটা দীর্ঘ এক অপেক্ষা। নির্দিষ্ট করে বললে – এটা অবহেলা ও অস্বীকৃতির ৫০০ বছর হবে। এখন আমাদের ছেলে-মেয়েরা আমাদের শহরে আমাদের মুসলিমদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও রীতিনীতিকে সম্মান জানিয়ে যাবে এবং স্মরণ করবে। মুসলিমরা ম্যানিলাকে মহিমান্বিত করেছে। তারা স্প্যানিশদের আগে ফিলিপাইনের দ্বীপগুলোতে পৌঁছেছিলো।
ম্যানিলার মেয়রের এমন উদ্যোগে খুব খুশি সেখানকার মুসলমানরা। কবরস্থান নির্মাণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা মুসলিম ফিলিপিনোসের জাতীয় কমিশনের চেয়ারম্যান সাইদামেন পাগারুনগান বলেন: ঐতিহাসিক এ উপহারে কেবল ম্যানিলার মুসলমানরাই খুশি নয়, বরং দেশের ১ কোটি ২০ লাখ মুসলমানই খুশি।
সূত্র: দ্য ম্যানিলা টাইমস,
ফিলিপাইন ডেইলি ইনকোয়েরার ও
আরব নিউজ।