দেশের ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল সেক্টররের চাহিদা অনুযায়ী দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা কে সাজিয়ে তুলতে হবে। দেশের ইন্ড্রাস্ট্রি গুলোর চাহিদা অনুযায়ী বাংলদেশ ম্যানপাওয়ারের যোগান দিতে পারছে না। যার কারণে ইন্ড্রাস্ট্রি গুলো নির্ভর করতে হয় বিদেশিদের উপর। বিশেষ করে ভারতীয়, শ্রিলংকান, চাইনিজ, তাইওয়ান সহ অন্যান্য দেশের উপর।
আমাদের ইন্ড্রাস্ট্রি গুলোর প্রয়োজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার, দক্ষ ম্যাকানিক্স, দক্ষ সহকারী, দক্ষ সুপারভাইজার, দক্ষ মারকেটিং অফিসার, দক্ষ একাউন্ট্যান্ট, দক্ষ অপারেটর।
এই সব ক্যাটাগরির কোনো দক্ষ শ্রমিক আমাদের দেশে নাই। প্রতিবছর হাজার হাজার মাথা মোটা মুখস্থ বিদ্যার ডিগ্রী নিয়ে বাহির হচ্ছে।
আর বেকারত্বের পরিমাণ বাড়াচ্ছে।
কেউ কেউ আবার মামাখালুর মাধ্যমে সরকারের কোনো চেয়ারে বসতে পারলেই হয়। এর পর বুঝিয়ে দিবে লুটেরা কারে বলে। বিদেশ থেকে একজন কনসালটেন্ট দেশে এনে প্রশিক্ষণ না নিয়ে ১০ জন কে বিদেশে পাঠাবে কনসালটেন্ট এর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিতে। এতে করে যেমনি সময়ের অপচয় হচ্ছে? ঠিক তেমনি ভাবে জনগনের দেওয়া টেক্সের টাকা লুটপাটের রাস্তাও তৈরী হচ্ছে।
তাই সরকারের উচিৎ এসব লুটেরাদের উপর ইনভেস্ট না করে দেশের কারিগরি শিক্ষাকে শক্তভাবে গড়ে তুলতে। দেশে বেশি বেশি সরকারি পলিট্যাকনিক ইন্সটিটিউট চালু করা। স্কুল পর্যায়ে সাব্জেক্ট আরো কমিয়ে দেওয়া। এবং স্কিল বেইসড শিক্ষা ব্যাবস্থা চালু করা।
একটা কথা কি জানেন?
আমাদের দেশে হস্পিটাল গুলোতে এবং ক্লিনিক গুলোতে পরিক্ষা নীরিক্ষা করার জন্য যেসকল বড় বড় মেশিন দেখেন, সেগুলোর বেশিরভাগ অপারেটর ও তার দেখবাল করা মেকানিক্স গুলো বিদেশি নাগরিক।
এটি কেনো হচ্ছে? একটু ভেবে দেখেছেন? কারণ আমাদের ইন্সটিটিউট গুলোতে ঐ সাব্জেক্টই রাখা হয়নি। এমনি ভাবে দেশের প্রতিটি সেক্টরে রয়েছে হাজার হাজার বিদেশি নাগরিক। অথচ দেশের প্রায় ৪ কুটি যুবক বেকার।
আপনারা যারা আপনাদের সন্তানদের কে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বড় সরকারি অফিসার বানানোর কথা ভাবছেন। কখনো কি ভাবেন না আপনার সন্তানকে এক্স-রে মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার বানাবো?
এখনো সময় আছে, হাতে অনেক সময় আছে। আপনার সন্তানকে মিথ্যা মুখস্থ বিদ্যার এ+ প্লাস পাওয়ার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। ডাক্তার বানানোর পরিবর্তে মেডিকেল ইকুইপমেন্ট আবিস্কারক বানানোর চিন্তা করেন। আপনার সন্তানকে এখন দক্ষ আর্কিটেকচার বানানোর চিন্তা করুন।
– শাহ সুমন – মালদ্বীপ প্রবাসী