বেরোবি প্রতিনিধিঃ
নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন-এর নামে উত্তরবঙ্গের বাতিঘর হিসেবে পরিচিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো বর্তমান সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সতর্কীকরণ বার্তা সম্বলিত খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বিভিন্ন পত্রিকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর নামে তথাকথিত “বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়” নামে অস্তিত্বহীন অবৈধ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকান্ডের সাথে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর-এর গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান জড়িত বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন অনৈতিক কার্যক্রমে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জড়িত থাকার বিষয়টি বাংলাদেশের সমগ্র শিক্ষক সমাজ এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী ব্যক্তিবর্গের জন্য অপমানজনক ও লজ্জাকর। তিনি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক হওয়া সত্তে¡ও বেসরকারী কলেজের প্রভাষকের (ইউজিসি কর্তৃক অননুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি) নেতৃত্বে একটি বে-আইনী বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর ট্রাস্টি। তিনি বিভিন্ন বানোয়াট, মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার পাশাপাশি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমÐলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর-এর সুনাম ও ভাবমূর্তি বিনষ্ট করছেন। এটি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর আইন-২০০৯ ভঙ্গ এবং অবমাননার শামিল। ইতোমধ্যে, ইউজিসি এ অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টদের সহায়তা চেয়েছে।
এক বিবৃতিতে নবপ্রজন্ম শিক্ষক পরিষদ মশিউর রহমানের এহেন কাজের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে কঠোর শাস্তির জোর দাবি জানান।