তুরস্কের দাবানল নেভাতে দমকল বিমান ও হেলিকাপ্টার পাঠিয়েছে ইরান
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইরানের দমকল বিমানের ছবিসহ একটি টুইটাবার্তা প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ‘অ্যাক্সাজ’ নৌঘাঁটিতে ইরানের একটি ইলিউশন-৭৬ বিমান অবতরণ করেছে। মন্ত্রণালয় বলছে, ইরানের বিমানটি এক সাথে ৩০ টন পানি বহন করতে পারে!
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন: আজারবাইজন, রাশিয়া, ইউক্রেন ও সবশেষ ইরান থেকে অগ্নিনির্বাপক বিমান এসে পৌঁছায় দাবানল নেভানোর কাজ অনেকটা সহজ হয়েছে।
আঙ্কারায় নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত মুহম্মদ ফারাজমান্দ বলেছেন: ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কয়েকটি অগ্নিনির্বাপক হেলিকপ্টারও তুরস্কে পৌঁছেছে এবং সেগুলো রোববার (আজ) থেকে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করবে। বিপদ-আপদেই এক প্রতিবেশী আরেক প্রতিবেশীর কাজে লাগে।
তুরস্কের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় বনাঞ্চলে বুধবার থেকে অন্তত ১০০টি বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব আগুন ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলীয় ১৭ প্রদেশের অন্তত ৭০ এলাকা ও বিস্তীর্ণ জঙ্গলে ছড়িয়ে পড়েছে এবং দুজন অগ্নিনির্বাপক কর্মীসহ ছ’জন নিহত হয়েছেন। বহু ঘরবাড়ী ও খেত পুড়ে গেছে এবং হাজার হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটে গেছেন। দাবানলের তীব্রতা এতো বেশী যে, তুরস্কের আনতালিয়া ও মারসিন প্রদেশ থেকে ধোঁয়া গ্রীস পর্যন্ত পৌঁছে গেছে – যার দূরত্ব দাবানলের স্থান থেকে প্রায় ১৫০ কিঃমিঃ বা ৯৩ মাইল। পরিস্থিতির সবচেয়ে বেশী অবনতি হয়েছে আজিয়ান সাগরের সৈকতে পর্যটন নগরী মারমারিসের। সেখানকার বেশ কয়েকটি রিসোর্টে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় হুমকির মুখে পড়েছে পর্যটন ব্যবসা। দেশী-বিদেশী বহু পর্যটক ও স্থানীয় অধিবাসীকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। দেশী-বিদেশী অগ্নিনির্বাপক ৫টি বিমান, ৪৫টি হেলিকপ্টার ও ড্রোনের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে এক হাজারেরও বেশী দমকলকর্মী। সূত্র: তাসনিম নিউজ।