রনি আহমেদ বয়স ১৬ থেকে ১৭ বছর। ওর বয়স যখন ১৪ মাস তখন এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ওর বাবা মারা যায়। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তিটি মারা যাওয়ায় রনিই হয়ে যায় তার মায়ের শেষ আশা ভরসা। তার মা তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু করে। নাড়ি ছেড়া ধন রনিকে নিয়ে অনেক আশা ও স্বপ্নের কারনে নিজে আর বিয়েও করেনি।
ইচ্ছা ছিলো ছেলে রনিকে হাফেয বানাবে। ভর্তি করায় ঢাকার একটা হাফেজী মাদ্রাসায়। একমাত্র ছেলে নিয়ে এদিকে জীবন যুদ্ধে অগ্রসর হওয়া মা অনেক কষ্টে তার পড়ালেখা ও চিকিৎসা ব্যয় বহন করছিলেন।
যাকে নিয়ে এতো স্বপ্ন এতো আসা সেই নাড়ি ছেড়া ধন গত ২৮/০৯/২০২০ তারিখে মর্মান্তিকভাবে পানিতে ডুবে মারা যায়। আর এতে করে শেষ হয়ে যায় একটি মায়ের তাকে নিয়ে দেখা হাজারো স্বপ্ন।
এমন হৃদয় বিদারক ঘটনা শুনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও রনি আহমেদের কবর জিয়ারত করার ইচ্ছা পূষন করেন এবং আজ ৩ অক্টোবর রনি আহমেদের কবর জিয়ারত করতে চান্দিনায় ছুটে আসেন। কবর জিয়ারত শেষে রনি আহমেদের মাকে প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও মহোদয় শান্তনা দিয়েছেন।
এমন অসহায়, এতীম ছেলের কবর জিয়ারত করে প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন।